বাংলা ভাষা ও সাহিত্যর আত্মপরিচয় নিজের সভ্যতার ভিতর থেকে উদ্ভূত

বাংলার ইতিহাসের আত্মপরিচয় কেবল ইউরোপীয় কাঠামো নয়, বরং নিজের সভ্যতার ভিতর থেকে উদ্ভূত ইতিহাস লেখা কেবল ঘটনাপঞ্জি রচনা নয়, বরং এক গভীর সাধনা। এটি এমন […]

রাজীবলোচন মুখোপাধ্যায় কৃত মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায়স্য চরিত্রং (১৮১১)

মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায়স্য চরিত্রং (১৮১১) রাজীবলোচন মুখোপাধ্যায় (১৭৫০-১৮২২ খ্রি.) বঙ্গভূমিতে হাবিলি পরগণায় কাঁকদি গ্রামে কাশীনাথ রায় মহাশয়ের বসতি ছিল, পরগণাও তাহার জমিদারি কিছু কাল পরে […]

বঙ্গসাহিত্যের ভবিষ্যৎ – আশুতোষ মুখার্জির বক্তৃতা (১৯৩৬)

বঙ্গসাহিত্যের ভবিষ্যৎ আশুতোষ মুখোপাধ্যায় (১৯৩৬) “সাজাইতে মাতৃভাষা সদা যার মনে আশা,নাশিতে স্বদেশবাসি-অজ্ঞান-তিমির।জন্মভূমি-জননীর মুছাতে নয়ন-নীর,দিবসযামিনী যার পরাণ অধীর॥রত্নপ্রসূ বসুধার সে রত্ন-সন্তান।এ মর-ধরণী’পরে অমর-সমান॥”[১] সমবেত সভ্যমণ্ডলী, দেখিতে […]

ফা-হিয়েন ও হিউয়েন-সাং-এর লেখায় প্রাচীন বঙ্গ

বাংলা ভাষা এবং সাহিত্যের বিশ্বকোষ (Encyclopedia of Bengali Language and Literature) তন্ময় ভট্টাচার্য (অ্যাডভোকেট) ফ রাত্রিকালীন বাজার ও অদ্ভুত ভাষাভাষীদের অস্তিত্ব চীনদেশীয় পরিব্রাজক ফা-হিয়েন (Faxian, 法显; […]

বাংলা ভাষার উৎপত্তি ও বিবর্তন | সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় (১৯২৬)

বাংলা ভাষার ইতিহাস নিয়ে প্রথম বিজ্ঞানসম্মত গবেষণা গ্রন্থ। সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের এই কালজয়ী কাজে বাংলার ধ্বনিতত্ত্ব, ব্যাকরণ ও শব্দভাণ্ডারের বিবর্তন বিশ্লেষণ করা হয়েছে।

বাৎস্যায়ন যুগের সংস্কৃতি ও বারাণসীর বিশ্ববিদ্যালয় (৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ)

খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দী, ভারতীয় শাস্ত্র ও সংস্কৃতির ইতিহাস খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দী, যাহা ভারতীয় শাস্ত্র ও সংস্কৃতি ইতিহাসে এক বিশেষ সন্ধিক্ষণ বলিয়া অভিহিত হইবার যোগ্য, সেই […]

হিন্দী ভাষার উৎস ও বঙ্গভাষার সহিত প্রাচীন ঐতিহাসিক সংযোগ

শৌরসেনী প্রাকৃত হইতে ব্রজবুলি ও উর্দুর উদ্ভব পর্যন্ত হিন্দী ভাষার বিবর্তন ও তার বাঙালি সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে প্রভাব হিন্দী ভাষার সহিত বঙ্গভাষার প্রাচীন সংযোগ এক […]

শূদ্রমুনি সরলা দাসের ওড়িয়া সরলা মহাভারত (১৪৩৬-১৪৬৬)

সরলা দাস ওড়িয়া ভাষার ‘আদিকবি’ হিসেবে সুপরিচিত। আদি পর্ব মহাভারতের সূচনায় তিনি পুরী জিলা জগন্নাথদেবকে লক্ষ্য করে এক দীর্ঘ ও ভক্তিসংলগ্ন স্তব পাঠ করেন, যেখান থেকে স্পষ্টভাবে জানা যায় যে, তিনি গজপতি রাজা কপিলেশ্বরের (অর্থাৎ কপিলেন্দ্র দেব; রাজত্বকাল ১৪৩৩ খ্রি.–১৪৬৭ খ্রি.) শাসনামলে মহাভারতের অনুবাদকর্ম শুরু করেন।

জীবনের হিসাব নিকাশ: বিপিন চন্দ্র পাল (1913)

আমার লেখাতে ও বলাতে সর্ব্বদাই আমি নিজেকে শিষ্যরূপে দেখিয়াছি। গুরু যে কে, তাহা ভাল করিয়া ধরিতে পারি নাই। তবে ইহা অসংখ্যবার উপলব্ধি করিয়াছি যে কে যেন অন্তরঙ্গ হইতে, আমার লেখনী বা রসনাকে অবলম্বন করিয়া আমাকে অনেক অদ্ভূত সত্য শিক্ষা দিতেছেন।

বাঙ্গালা ভাষা: নরেন্দ্র নাথ দত্ত (বিবেকানন্দ) 1900

কল্‌কেতার ভাষাই অল্প দিনে সমস্ত বাঙ্গলা দেশের ভাষা হয়ে যাবে, তখন যদি পুস্তকের ভাষা এবং ঘরে কথা কওয়া ভাষা এক ক’র্‌তে হয়, ত বুদ্ধিমান অবশ্যই কলকেতার ভাষাকে ভিত্তিস্বরূপ গ্রহণ ক’র্‌বেন। এথায় গ্রাম্য ঈর্ষ্যাটিকেও জলে ভাসান দিতে হবে। সমস্ত দেশের যাতে কল্যাণ, সেথা তোমার জেলা বা গ্রামের প্রাধান্যটি ভুলে যেতে হবে।