জগন্নাথ দাসের ওড়িয়া ভাগবত: বাংলা-ওড়িয়ার সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনের প্রতীক (১৪৯০-১৫৫০)

ওড়িয়া কবি জগন্নাথ দাস

অতিবাদী জগন্নাথ দাস (১৪৯১–১৫৫০) ছিলেন একজন বিশিষ্ট ভক্তকবি ও ভাগবততাত্ত্বিক, যিনি শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর (১৪৮৬-১৫৭৪) শিষ্যত্ব গ্রহণ করেছিলেন। শ্রীচৈতন্য তাঁর অনুপম ভগবৎভক্তি ও শ্রীকৃষ্ণতত্ত্ব-সংক্রান্ত গভীর জ্ঞান দেখে তাঁকে ‘অতিবাদী’ উপাধিতে অভিষিক্ত করেন। জগন্নাথ দাস রচিত ওড়িয়া ভাগবত কেবল ধর্মীয় সাহিত্যের এক উত্তম নিদর্শন নয়, বরং ওড়িয়া ভাষার একটি প্রামাণ্য ও মান্য রূপকেও প্রতিষ্ঠা করে। এই গ্রন্থে ব্যবহৃত ভাষা ছিল উচ্চতর সাহিত্যের যোগ্য ওড়িয়া, কিন্তু তবু তা মধ্যযুগের বাংলাভাষীদের জন্য সহজবোধ্য ছিল—কারণ শ্রীচৈতন্য নিজেও ওড়িয়া (ଓଡ଼ିଆ) ভাষায় পারদর্শী ছিলেন এবং বাংলাভাষী ভক্তদের সঙ্গে ওড়িয়াভাষায়ই কথাবার্তা বলতেন। এর ফলে জগন্নাথ দাসের ভাগবত গ্রন্থটি ওড়িয়া-ভাষার উন্নয়নের পাশাপাশি বাংলা-ওড়িয়ার সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় মেলবন্ধনের প্রতীক হয়ে ওঠে।

অতিবাদী জগন্নাথ দাস (১৪৯১-১৫৫০)

ওঁ নমো ভগবতে বাসুদেবায় ।
বাগীশা যস্য বদনে লক্ষ্মীর্যস্য চ বক্ষসি ।
যস্যাস্তে হৃদয়ে সম্ভিত্তং নৃসিংহমহং ভজে ॥ ১ ॥

বিশ্বসর্গবিসর্গাদিনবল্পক্ষণলক্ষিতম্
শ্রীকৃষ্ণাখ্যং পরং ধাম জগদ্ধাম নমামি তৎ ॥ ২ ॥

মাধবো মাধবাবীশৌ সর্বসিদ্ধিবিধায়িনৌ ।
বন্দে পরস্পরাত্মানৌ পরস্পরনতিপ্রিয়ৌ ॥ ৩ ॥

মূকং করোতি বাচালং পঙ্গুং লঙ্ঘয়তে গিরিম্ ।
যৎ কৃপা তমহং বন্দে পরমানন্দ মাধবম্ ॥ ৪ ॥

যং ব্রহ্মা বরুণেন্দ্ররুদ্রমরুতঃ স্তুন্বন্তি দিব্যৈঃ স্তবৈঃ ।
র্বেদৈঃ সাঙ্গপদক্রমোপনিষদৈর্গায়ন্তি যং সামগাঃ ।
ধ্যানাবস্থিততদ্গতেন মনসা পশ্যন্তি যং যোগিনো
যস্যান্তং ন বিদুঃ সুরাসুরগণা দেবায় তস্মৈ নমঃ ॥ ৫ ॥

নারায়ণং নমস্কৃত্য নরং চৈব নরোত্তমম্ ।
দেবীং সরস্বতীং ব্যাসং ততো জয়মুদীরয়েত্ ॥ ৬ ॥

জন্মাদ্যস্য যতোऽন্বয়াদিতরতশ্চার্থেষ্বভিজ্ঞঃ স্বরাট্
তেনে ব্রহ্মহৃদা য আদিকবয়ো মূহ্যন্তি যৎ সুরয়ঃ ।
তেজো বারিমৃদাং যথা বিনিময়ো যত্র ত্রিসর্গোऽমৃষা
ধাম্না স্বেন সদা নিরস্তকুহকং সত্যং পরং ধীমহি ॥ ৭ ॥

ধর্মঃ প্রোজ্ঝিতকৈতবোऽত্র পরমো নির্মৎসরাণাং সতাং
বেদ্যং বাস্তবমত্র বস্তু শিবদং তাপত্রয়োন্মূলনম্ ।
শ্রীমদ্ভাগবতে মহামুনিকৃতে কিম্বা পরৈরীশ্বরঃ
সদ্যো হৃদ্যবরুধ্যতেऽত্র কৃতিভিঃ শুশ্রূষুভিস্তৎক্ষণাত্ ॥ ৮ ॥

নিগমকল্পতরোর্গলিতং ফলং শুকমুখাদমৃতদ্রবসংযুক্তম্ ।
পিবত ভাগবতং রসমালয়ং মুহুরহো রসিকা ভুবি ভাবুকাঃ ॥ ৯ ॥


গোবিন্দ গোবিন্দ গোবিন্দ। পদু গলুচ্ছি মকরন্দ॥
সে মকরন্দ পান করি। এণে তরিলে ব্রজ নারী॥
সে ব্রজ নারীঙ্ক পয়রে। মন মো রহু নিরন্তরে॥
মন মো নিরন্তরে থাউ। হা কৃষ্ণ বলি জীব যাউ॥
হা কৃষ্ণ বলি যাউ জীব, মোতে উদ্ধার বাসুদেব॥

আমরা ইতিপূর্বে উল্লেখ করেছি যে, চৈতন্যদেব ও জগন্নাথ দাসের সময়কালীন ওড়িয়া ও বাংলা ভাষার মধ্যে প্রায় ৮০% সাদৃশ্য পরিলক্ষিত হয়। সেই সময় বর্তমান ওড়িশার অঞ্চলগুলি বঙ্গে-সুবায় (বঙ্গ-সুবাহ) অন্তর্ভুক্ত ছিল। অনেক ক্ষেত্রে আমরা ওড়িয়া ও বাংলা ভাষার মধ্যে কোন প্রকৃত পার্থক্য উপলব্ধি করতে পারি না। চৈতন্য মহাপ্রভু আধুনিক বাংলার ভাষাগত রূপটিকে মান্যতা ও প্রতিষ্ঠা দিয়েছিলেন এবং নিঃসন্দেহে বলা যায়, তাঁর প্রভাবে তাঁর শিষ্য জগন্নাথ দাস ওড়িয়া ভাষাকে একটি আদর্শরূপে গঠন করেন এবং তিনি ভাগবত গ্রন্থটি রচনা করেন এক বঙ্গ-ওড়িয়া মিশ্র উপভাষায়। নীচে আমরা ওড়িয়া ভাগবতের প্রথম গ্রন্থের প্রথম অধ্যায়ের লিপ্যন্তর দিচ্ছি।

শ্রী গণেশায় নমঃ

ନମଇଁ ନୃସିଂହ ଚରଣ । ଅନାଦି ପରମ କାରଣ ॥୧
ଯା ବିନୁ ଆଦି ମଧ୍ୟ ଅନ୍ତ । ବିଚାରେ ନ ଘଟେ ଜଗତ ॥୨

নমই নৃসিংহ চরণ । অনাদি পরম কারণ ॥১॥
য়া বিনু আদি মধ্য অন্ত । বিচারে ন ঘটে জগত ॥২॥
ইন্দ্রিয় অর্থ যে জানই । স্বতেজে নিত্য প্রকাশই ॥৩॥
আনন্দমনে বেদসার । ব্রহ্মাণ্ডে যে কলা বিস্তার ॥৪॥
ইয়ার স্বরূপ হৃদে চিন্তি । বেদপুরুষে ন জানন্তি ॥৫॥
মৃত্তিকা বিকার যেমন্ত । জলরে হুঈ কল্পিত ॥৬॥
জলে উপল বুদ্ধি করি । মৃগতৃষ্ণারে যেনে বারি ॥৭॥
রূপ অরূপ স্থিতি তিনি । ইয়াৰ গোচরে অনুমানি ॥৮॥
স্বভাবে নহে সে এমন্ত । এ সাংখ্যযোগীংক মত ॥৯॥
আত্ম প্রকাশে সদা ঠাই । নিরস্ত কুহক বোলাই ॥১০॥

সত্যপরমানন্দ হরি । যাহার ভাবে ভবু তরি॥১১॥
এমন্তে সত্য রূপ যার । তা পাদে মোর নমস্কার ॥১২॥
তার চরণে নিত্যে ধ্যান । করি তরন্তি সর্বজন ॥১৩॥
সে কৃষ্ণপাদ হৃদে ধরি । প্রবন্ধে গীতনাদ করি ॥১৪॥
অশেষ জগতর হিতে । বর্ণই দাস জগন্নাথে ॥১৫॥
নির্মল মুনিংক মণ । হরি-চরিত ভাগবতে ॥১৬॥
কহিবি আছে যেতে গুণ । সুজনে সাবধানে শুণ ॥১৭॥
নাহি তাহাংক অহঙ্কার । সহিষ্ণু ভূতে দয়াপর ॥১৮॥
কপট ধর্ম যার নাহি । স্বভাবে শাস্ত্র সে বোলাই ॥১৯॥
সে সাধুজনংকর ধর্ম । মায়াবর্জিত শুদ্ধকর্ম ॥২০॥

তাহাংক বিচারে ধর্ম যে‌তে । শু‌ণ ক‌হিবা দৃঢ়চিত্তে ॥২১॥
লক্ষ্য অলক্ষ্য যে‌তে প্রাণী । বোধ বিচারে পরিমাণি ॥২২॥
সে ধর্ম য‌হিঁ অনুমানি । এ‌ণে সংসারে যে‌তে জ্ঞানী ॥২৩॥
সে বস্তু আছে য‌হিঁ পূ‌রি । যা‌হা চিন্ত‌ন্তি ব্রহ্মচারি ॥২৪॥
শ্রবণ মাত্রে মোক্ষ পাই । তাপত্রিতপ ক্ষয় যাই ॥২৫॥
হৃদয়ে বসই তক্ষণ । অনাদি প্রভু নারায়ণ ॥২৬॥
এ‌ণু অধিক অন্য গ্রন্থে । কি প্রয়োজন এ জগতে ॥২৭॥
এ‌ণু এ ভাগবত যে‌হি । শ্রবণমাত্রে ভক্তি হোই ॥২৮॥
এ ভাগবতের মহিমা । কে চিন্তি পারে গুণসীমা ॥২৯॥
সকল শাস্ত্রফল এ‌হি । শ্রীভাগবত নাম যে‌হি ॥৩০॥
সকল বেদ হোই বৃক্ষে । ফল ফলিলে অন্তরীক্ষে ॥৩১॥
কেতেহেঁ দিনে পাচি তলে । বৃক্ষু পড়িলে বায়ুবলে ॥৩২॥
শুক ধাঁইলে তাহা দেখি । পক্ষীংক সঙ্গত উপেক্ষি ॥৩৩॥
তোষে অধর ক্ষত কলা । ভিতরে সুরঙ্গ দিশিলা ॥৩৪॥
তহুঁ গ‌লিলা রসসার । কি অবা দেবা পটান্তর ॥৩৫॥
অমৃত নিন্দে স্বাদু পণে । সুজনে পিব অনুক্ষণে ॥৩৬॥
আনন্দে কর সুধাপান । যেনে পাইব দিব্যজ্ঞান ॥৩৭॥
এ চারিবেদংকর মূল । নিগমবৃক্ষর এ ফল ॥৩৮॥
পিব জীবন অন্তযায়ে । যেনে বঞ্চিব মায়ামোহে ॥৩৯॥
এবে হো শু‌ণ সাধুজনে । হরিচরিত শুদ্ধমনে ॥৪০॥

সর্বদেবঙ্ক রম্যস্থান । নাম যে নৈমিষঅরণ্য ॥৪১॥
কলির আগমন দেখি । মুনিয়ে স্থান উপলক্ষি ॥৪২॥
শৌনক আদি মুনিগণে । মিলিলে নৈমিষ অরণ্যে ॥৪৩॥
কলি-কলুষ ভয় করি । মুনিয়ে একান্তে বিবেচরি ॥৪৪॥
সঙ্কল্প করি এতো তলে । সহস্র-যজ্ঞ আরম্ভিলে ॥৪৫॥
জাণন্তি শুভপ্রদ বাঞ্ছা । স্বর্গাদিলোকে কলে ইচ্ছা ॥৪৬॥
সকলেমি‌লি প্রাতঃকালে । কর্ম সম্পাদিলে অনলে ॥৪৭॥
সূতমু‌নিকি পূজা করি । বসিলে সকলে আবোরি ॥৪৮॥
সকলমুনি শুদ্ধমনে । পুচ্ছিলে অমৃত-বচনে ॥৪৯॥

ঋষিগণ উবাচ:

হে সূত শু‌ণ সাবধানে । তুম্ভ মহিমা অনুমানে ॥৫০॥
সর্ব-পুরাণ ইতিহাস । শু‌ণিলু তুম্ভর সকাশ ॥৫১॥
সংসারে ধর্মশাস্ত্র যে‌তে । সর্ব গোচর তুম্ভমতে ॥৫২॥
বেদবিদঙ্ক মধ্যে শ্রেষ্ঠ । যে ব্যাসমুনি তপোনিষ্ঠ ॥৫৩॥
তাহাঙ্ক শিষ্য অট তুম্ভে । এ কথা ভ‌লে জানু আম্ভে ॥৫৪॥
পূর্বে যে থিলে ব্রহ্মমুনি । তাঙ্ক বচন তুম্ভে শু‌ণি ॥৫৫॥
সকল শাস্ত্র তুম্ভ তাহিঁ । বেদপুরাণে যে‌তে ক‌হি ॥৫৬॥
ব্যাসঙ্ক অনুগ্রহ ঘেনি । সকল শাস্ত্রে তুম্ভে জ্ঞানী ॥৫৭॥
দইবে আছে এহি মত । যে শিষ্য গুরুরে ভকত ॥৫৮॥
শিষ্য ভক্তিরে দয়া ব‌হে । সকল গূঢ়তত্ত্ব ক‌হে ॥৫৯॥
এ‌ণু ব্যাসঙ্ক শিক্ষা যে‌তে । প্রকাশ আম্ভর অগ্রতে ॥৬০॥

নি‌শ্চে একান্ত শ্ৰেয় যে‌তে । এ জীব তরিবু যে‌মন্তে ॥৬১॥
যেণে টুট‌ই বিষ্ণু মায়া । কহ আম্ভঙ্কু যে‌বে দয়া ॥৬২॥
এ কলিযুগে যে‌তে প্ৰাণী । অল্প আয়ুষ পরিমাণি ॥৬৩॥
স্বভাবে মন্দমতি হো‌ন্তি । প্ৰাণীঙ্ক উপদ্ৰব চিন্তি ॥৬৪॥
যুগ বেভারে পরিমাণি । সকল ধর্ম তুম্ভে জাণি ॥৬৫॥
এ প্রশ্ন শুভ আম্ভমতে । সার উদ্ধাৰি দৃঢ়চিতে ॥৬৬॥
কহ সংসারে প্রাণীঙ্কর । যে‌মন্তে মায়ারু নি‌স্তার ॥৬৭॥
যেণে প্ৰসন্ন হো‌ই হরি । এ জীব আত্মাকু উদ্ধাৰি ॥৬৮॥
কর এ মায়ারু নি‌স্তার । এ জীবমানঙ্কু উদ্ধার ॥৬৯॥
তুম্ভ প্ৰসন্নে যোগবলে । প্রকাশ কর ম‌হীতলে ॥৭০॥
কি প্ৰয়োজন জগন্নাথ । দেবকী উদরে সম্ভূত ॥৭১॥
সে হেতু কহ শুদ্ধচিত্তে । আম্ভে পচারু জনহিতে ॥৭২॥
সংসারে যার অবতার । প্ৰাণী-মঙ্গল-বৃদ্ধিকর ॥৭৩॥
জগত পার সে চরিত । তুম্ভে তা বর্ণনে সমর্থ ॥৭৪॥
ঘোর-সংসারে প্রাণী প‌ড়ি । আত্মা-নি‌স্তার-পথ হু‌ড়ি ॥৭৫॥
যাহা‌র নাম উচ্চারিলে । সংকটু তরিযান্তি ভ‌লে ॥৭৬॥
যে ভয় জীব তেজ হ‌রে । সে হরি নাম শু‌ণি ড‌রে ॥৭৭॥
যা‌র চরণে আশ্রে করি । পবিত্র হো‌ন্তি ব্রহ্মচারি ॥৭৮॥
শুদ্ধ করন্তি সর্বজনে । গঙ্গা যেসনে স্নানপানে ॥৭৯॥
যাহা‌র যশ পুণ্যশ্লোকে । সুখে গুণন্তি জ্ঞা‌নিলোকে ॥৮০॥

কলিকলুষ ন লাগ‌ই । কেবা ন তরে এ‌হা গা‌ই ॥৮১॥
যা যশ গা‌ই মুনিগণে । সুখে তরন্তি ভববণে ॥৮২॥
যে হরি ব্রহ্মাণ্ড ভিতরে । লীলা সরাগে অবতরে ॥৮৩॥
বিশ্ব-উৎপত্তি-স্থিতি-নাশ । কি রূপে কর তা প্রকাশ ॥৮৪॥
মত্স্যাদি অবতারমান । ধরিণ প্ৰভু ভগবান ॥৮৫॥
আত্মার যোগমায়া বলে । বিহরে অবনী-মণ্ডলে ॥৮৬॥
সে হরি স্বচ্ছ শুভ কথা । কহ হে সুত ধর্মজ্ঞাতা ॥৮৭॥
তার মহিমা শু‌ণি নিত্যে । তোষ নলভু আম্ভচিত্তে ॥৮৮॥
জিহ্বা যেসনে সুধারস । পিবন্তে নুহ‌ই সন্তোষ ॥৮৯॥
অনন্ত সঙে ঠা‌ই হরি । জগতে যে‌তে কর্ম করি ॥৯০॥
কপটে নররূপ ধরি । অতিমানুষ কর্ম করি ॥৯১॥
কলি আগম আম্ভে দেখি । সকল সম্পদ উপেক্ষি ॥৯২॥
এ পুণ্যক্ষেত্রে শুভক্ষণে । কৃষ্ণর কথা অনুক্ষণে ॥৯৩॥
করি তরিবু বিষ্ণু মায়া । ভো মুনি তুম্ভে কর দয়া ॥৯৪॥
আম্ভর পূৰ্ব পুণ্যফলে । সঙ হ‌ইলু তুম্ভ মেলে ॥৯৫॥
এ ভয়ঙ্কর কলিকালে । আম্ভে যে অচ্ছু ভবজলে ॥৯৬॥
এ জলু তুম্ভে কর পার । ব‌ইতে যেহ্নে কৰ্ণ্ধার ॥৯৭॥
যে হরি ব্রহ্মাণ্ড-বৰ্ষল । সর্বদেৱঙ্ক আদিমূল ॥৯৮॥
ধর্ম-কবচ যা‌র অঙ্গে । সুখে বিহরে নানারঙে ॥৯৯॥
কলি আগমে ভগবান । গ‌মিলে আপণা ভুবন ॥১০০॥

যে ধর্ম সংসার রখিব । সে কাঁহিঁ শরণ পশিব ॥১০১॥
এ কথা কহ মুনিবর । আম্ভ সন্দেহ যাও দূর ॥১০২॥
এমন্তে নৈমিষ বনে । সর্বমুনিঙ্ক সন্নিধানে ॥১০৩॥
শৌনক আদি মুনিগণে । যে প্ৰশ্ন কলে জনে জনে ॥১০৪॥
নির্মল বিষ্ণুর চরিত । কৃষ্ণ-বিষয় ভাগবত ॥১০৫॥
সুজনজনঙ্ক হিতে । কহঈ দাস জগন্নাথে ॥১০৬॥

ইতি শ্রীমদ্ভাগবতে মহাপুরাণে পারমহংস্যাং সংহিতায়াং
প্রথমস্কন্ধে নৈমিষীয়োপাখ্যানে প্রথমোऽধ্যায়ঃ ॥


সূচিপত্র

প্রথম কাঁধ
দ্বিতীয় কাঁধ
তৃতীয় কাঁধ
চতুর্থ কাঁধ
পঞ্চম কাঁধ
ষষ্ঠ কাঁধ
সপ্তম কাঁধ
অষ্টম কাঁধ
নবম কাঁধ
দশম কাঁধ
একাদশ কাঁধ
দ্বাদশ কাঁধ
ত্রয়োদশ কাঁধ


Leave a Reply