কাশীদাসী মহাভারতে “প্রয়াগ মাহাত্ম্যে ব্যাধ ও সুমতির উপাখ্যান”

12th March 2025

কাশীদাসী মহাভারতে (ভারত পাঁচালী) “প্রয়াগ মাহাত্ম্যে ব্যাধ ও সুমতির উপাখ্যান”

কাশীদাসী মহাভারতের (১৬০৪) শান্তি পর্বে অন্তর্ভুক্ত “প্রয়াগ মাহাত্ম্যে ব্যাধ ও সুমতির উপাখ্যান”  এক গুরুত্বপূর্ণ কাহিনি (story) যেখানে ধর্মীয় সাধনার শক্তি, পুণ্যস্থানের মাহাত্ম্য এবং ঈশ্বরের অনুগ্রহ সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে।

এই কাহিনিতে মূলত সুমতি ও তাঁর স্বামীর পুত্রহীন দুঃখ, বৈশ্যপত্নীর সতীত্বের পরীক্ষা, ব্যাধের কামনা, প্রয়াগে তপস্যার ফলস্বরূপ তার পুনর্জন্ম, এবং অবশেষে বিষ্ণুর লীলা ও পরিত্রাণের কাহিনি তুলে ধরা হয়েছে।

মূল কাহিনির বিশ্লেষণ

১. বৈশ্য ও সুমতির দুঃখ

  • অযোধ্যার ধনপতি নামে এক ধনী বৈশ্য ও তাঁর স্ত্রী সুমতি ছিলেন বিত্তশালী কিন্তু নিঃসন্তান।
  • তাঁরা বহু যজ্ঞ ও ব্রত পালন করেও সন্তানলাভে ব্যর্থ হন।
  • দুঃখে বৈশ্য ব্যবসার জন্য দূরদেশে চলে যান।

২. ব্যাধের কামনা ও লোভ

  • সুমতি তাঁর দাসীদের সঙ্গে একদিন স্নান করতে রাম সরোবরে যান।
  • এক ব্যাধ, লুব্ধক, সুমতির সৌন্দর্যে মোহিত হয়ে তাকে প্রলুব্ধ করতে চায়।
  • কিন্তু সুমতি বৈষ্ণব নীতিতে অবিচল থেকে ব্যাধকে প্রত্যাখ্যান করেন।
  • ব্যাধ হতাশ হয়ে দাসীদের পরামর্শ নেয় এবং তারা তাকে প্রয়াগে (Prayag) তপস্যা করতে বলে।

৩. প্রয়াগে ব্যাধের তপস্যা ও বিষ্ণুর অনুগ্রহ

  • ব্যাধ তিন দিন তিন রাত প্রয়াগে গঙ্গার তীরে উপবাস ও স্নান করে।
  • তার ভক্তি ও তপস্যায় সন্তুষ্ট হয়ে বৈকুণ্ঠের বিষ্ণু তাকে বর দেন।
  • সে তার কামনা অনুযায়ী পরবর্তী জন্মে ধনপতির রূপ লাভ করে এবং সুমতির স্বামী রূপে ফিরে আসে।

৪. দ্বৈত রূপ ও সুমতির বিভ্রান্তি

  • ধনপতি ফিরে আসার পর সুমতি দেখে যে দুই ব্যক্তি একই রূপে, স্বামী হিসাবে দাবি করছে
  • এই বিভ্রান্তিতে পড়ে সে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে।

৫. বিষ্ণুর আবির্ভাব ও সংকটের সমাধান

  • সুমতির নিবেদন শুনে বিষ্ণু স্বয়ং ত্রিভঙ্গ মূর্তিতে আবির্ভূত হন।
  • তিনি প্রকাশ করেন যে ব্যাধের পুনর্জন্মের ফলে এই বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে, যা তার পূর্বজন্মের তপস্যার ফল।
  • কিন্তু সতীত্ব রক্ষার জন্য সুমতির প্রার্থনায় এক স্বামীকে পুনর্জন্ম থেকে মুক্ত করেন।

ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা

  • প্রয়াগের মাহাত্ম্য: এই কাহিনি প্রয়াগের (ত্রিবেণী সঙ্গমের) ধর্মীয় গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে। এখানে স্নান ও উপবাস করলে পাপ নাশ হয় এবং ইচ্ছাপূরণ হয়।
  • ভক্তির শক্তি: ব্যাধের মতো এক সাধারণ ব্যক্তি প্রয়াগে তপস্যা করে তার কামনা পূর্ণ করতে পেরেছে, যা দেখায় যে নিষ্ঠা ও একাগ্রতা থাকলে ঈশ্বর কৃপা করেন।
  • সতীত্বের মহিমা: সুমতির সতীত্ব পরীক্ষা এবং তার ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা, তাকে রক্ষা করেছে।
  • বৈষ্ণব ভক্তি ও বিষ্ণুর করুণা: এই কাহিনির শেষে বিষ্ণুর লীলা প্রকাশিত হয়, যা গৌড়ীয় বৈষ্ণবধর্মের দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ।

কাশীদাসী মহাভারতের এই অংশটি বাংলা মহাভারত সাহিত্যের এক গুরুত্বপূর্ণ রচনা, যেখানে ধর্মীয় চেতনা, পবিত্র তীর্থস্থান ও ভক্তির মাহাত্ম্য সুন্দরভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। এটি শুধু ধর্মীয় অনুশাসনই নয়, বরং নৈতিকতা ও সামাজিক আদর্শের প্রতিফলনও।

প্রয়াগ মাহাত্ম্যে ব্যাধ ও সুমতির উপাখ্যান

ভীষ্ম বলিলেন শুন পাণ্ডুর নন্দন।
পূর্ব্ব ইতিহাস কথা শুন দিয়া মন।।
ধনপতি নামে বৈশ্য অযোধ্যায় ধাম।
সর্ব্বধনে পূর্ণ বৈশ্য গুণে অনুপম।।
সুমতি নামেতে তার ভার্য্যা গুণবতী।
পরমা সুন্দরী সেই যেন কাম রতি।।
সর্ব্বসুখে পূর্ণ বৈশ্য মহাধনবান।
পুত্রহীন কেবল দুঃখিত মতিমান।।
নানমতে নানাযজ্ঞ করয়ে বিস্তর।
ভার্য্যা সহ ব্রত আচরিল বৈশ্যবর।।
অদৃষ্টের বশে তার না হৈল নন্দন।
এই হেতু সদা বৈশ্য রহে দুঃখী মন।।
পুত্রহীন বৃথা জন্ম সংসার ভিতরে।
পুত্র বিনা নাহি পার নরক দুস্তরে।।
এইরূপে বৈশ্য বহু করিল চিন্তন।
দূরদেশে গেল চলি বাণিজ্য কারণ।।

একদিন বৈশ্যপত্নী দাসীগণ সঙ্গে।
সরোবরে স্নান হেতু চলিলেন রঙ্গে।।
উপবন মধ্যে আছে রাম সরোবর।
স্নানে পুণ্যফল তাহে লভয়ে বিস্তর।।
সেই সরোবরে গেল স্নান করিবারে।
হেনকালে এক ব্যাধ আসে তথাকারে।।
লুব্ধক তাহার নাম বিখ্যাত ভুবন।
দেখিয়া কন্যার রূপ হয় অচেতন।।
পীতবর্ণ অতি রঙ্গ জিনিয়া কাঞ্চন।
রক্তমাংস রবিত্রাস দেখিয়া পিন্ধন।।
কুচযুগ জিনি পূগ কিবা রসায়ন।
করিকর ভুজবর মধ্য পঞ্চানন।।
মুখজ্যোতি দেখি শশী নিন্দে আপনারে।
দেখিয়া মূর্চ্ছিত ব্যাধ হইল অন্তরে।।
ক্ষণেকে চৈতন্য পেয়ে বলয়ে বচন।
শুন আজ সুবদনী মম নিবেদন।।
তোমা সম রূপবতী নাহি ত্রিভুবনে।
এ রূপ যৌবন ব্যর্থ কর কি কারণে।।
দূরদেশে গেল পতি বাণিজ্য কারণে।
রতিসুখহীনা হয়ে বঞ্চহ কেমনে।।
তোমাতে মজিয়া মন কম্পিত আমার।
স্মরশরে মম অঙ্গ হৈল ছারখার।।
দয়া করি রামা মোরে করাও রমণ।
নহে এইক্ষণে আমি ত্যজিব জীবন।।
নরহত্য মহাপাপ জানহ আপনি।
এত শুনি ক্রোধচিত্তে বলে নিতন্বিনী।।

অধর্ম্মী পাপিষ্ঠ তুই অতি হীন জাতি।
কোন লাজে হেন বোল বলিলে দুর্ম্মতি।।
স্পর্শ করি তোরে হয় স্নান করিবারে।
সজ্জা নাই তেঁই হেন বলহ আমারে।।
ভৃত্যের সমান মোর নহ দুরাচার।
এইমত অনেক করিল তিরস্কার।।
শুনিয়া হইল ব্যাধ দুঃখিত অন্তর।
স্নান করি বৈশ্যপত্নী গেল নিজ ঘর।।

মনে মনে ব্যাধ তবে অনেক ভাবিয়া।
নিবেদিল দাসীগণে বিনয় করিয়া।।
কিরূপে এ কন্যা লাভ হইবে আমার।
বিচার করিয়া তোরা কহ সারোদ্ধার।।
এত শুনি উপহাস করি দাসীগণ।
কোন্ লাজে হেন কথা কহরে দুর্জ্জন।।
বামন হইয়া চাহ চন্দ্রমা ধরিতে।
পতঙ্গ হইয়া চাহ অগ্নি নিবারিতে।।
চণ্ডাল হইয়া চাহ ধরিতে ব্রাহ্মণী।
লজ্জা নাই তেঁই বল হেন দুষ্টবাণী।।
পুনরপি বলে ব্যাধ বিনয় করিয়া।
কহ সত্য কিরূপে পাইব এই জায়া।।
ইহজন্মে পাই কিন্বা পাই জন্মান্তরে।
নির্ণয় করিয়া সত্য কহিবা আমারে।।

মালিনী নামেতে দাসী কহে হাসি হাসি।
প্রয়াগে করহ তপ হইয়া তপস্বী।।
ত্রিসন্ধ্যা করহ স্নান প্রয়াগের নীরে।
এক ক্রমে তিনদিন রহ গঙ্গাতীরে।।
তথা বাস করিয়া স্মরিয়া নারয়াণ।
তিন দিন তিন রাত্র করিলে লঙ্ঘন।।
তবে সে এ কন্যা তুমি পাইবে নিশ্চয়।
এত বলি দাসীগণ গেল নিজালয়।।

শুনিয়া আনন্দে ব্যাধ চলিল ত্বরিত।
প্রয়াগের তীরে গিয়া হৈল উপনীত।।
একাসন করিয়া তিন দিবস রজনী।
একচিত্তে স্মরণ করয়ে চক্রপাণি।।
ভকতবৎসল হরি বৈকুণ্ঠে থাকিয়া।
ব্যাধে ডাকি বলিলেন শূণ্যরূপ হৈয়া।।
মনোবাঞ্ছা পূর্ণ ব্যাধ হইবে তোমার।
এইত প্রয়াগে স্নান কর পুনর্ব্বর।।

এতেক শুনিয়া ব্যাধ আনন্দিত মন।
প্রয়াগে করিয়া স্নান করিয়া তর্পণ।।
পাপতনু খণ্ডিল হইল দিব্যগতি।
রূপে গুণে হৈল সেই বৈশ্যের আকৃতি।।
শীঘ্রগতি অযোধ্যায় করিল গমন।
উপনীত হন গিয়া বৈশ্যের ভবন।।
নিজপতি প্রায় ব্যাধে বৈশ্যপত্নী দেখি।
নিরখিয়া প্রণমিল আসি শশীমুখী।।
পাদ্য অর্ঘ্য দিয়া বসাইল সিংহাসনে।
ঈষৎ হাসিয়া কহে মধুর বচনে।।
যত দিন প্রাণনাথ নাহি ছিলা ঘরে।
তত দিন অসন্তোষ আমার অন্তরে।।
সুখলেশ নাহি চিত্তে আমি বিরহিনী।
চন্দ্রের অভাবে যেন ম্লান কুমুদিনী।।

ব্যাধ বলে বড় ভাগ্য তোমার আছিল।
তেঁই সে সঙ্কটে মম প্রাণ রক্ষা হৈল।।
বহুদূর গিয়াছিনু বাণিজ্য কারণ।
ধন জন সব বিধি করিল হরণ।।
রাক্ষসের হাতে আমি পড়িয়াছিলাম।
সকল মজিল দৈবে প্রাণ পাইলাম।।
শুনি কহে বৈশ্যপত্নী সজল নয়ন।
ধন যাক্ প্রাণনাথ আইলে ভবন।।

এইরূপে আছে দোঁহে কথোপকথনে।
হেনকালে আসে বৈশ্য আপন ভবনে।।
শত শত বলদে শকটে পূরি ধন।
নিজ গৃহে আসি উত্তরিল সেইক্ষণ।।
দেখিয়া বিস্ময়চিত্ত হইল সুমতি।
এইরূপ দুইজন একই আকৃতি।।
তুল্য ভাষা তুল্য গুণ তুল্য দুই জন।
দুইজন দোঁহারে করিল নিরীক্ষণ।।

দেখিয়া বিস্ময় মন বৈশ্যের নন্দন।
কার সঙ্গে ভার্ষ্যা মম করিছে কথন।।
পতিব্রতা ভার্য্যা মম অন্য নাহি জানে।
কোন্ দেব আসিয়াছে ছল আচরণে।।
এতেক ভাবিয়া বৈশ্য জিজ্ঞাসে পত্নীরে।
হইলাম বিস্মিত তোমার ব্যবহারে।।
পতিব্রতা বলি তোমা জানে জগজ্জন।
পর পুরুষের সঙ্গে কর আলাপন।।
শুনিয়া সে বৈশ্যপত্নী কহিতে লাগিল।
তব রূপে এইরূপ বিধি নিরমিল।।
আকৃতি প্রকৃতি রূপ তুল্য দোঁহাকার।
কেমনে জানিব চিত্তে কে স্বামী আমার।।
এক গর্ভে জন্ম হেন হয়েছে দোঁহার।
ভেদজ্ঞান নাহি যেন অশ্বিনীকুমার।।

দেখিয়া সুমতি তবে ভাবে মনে মনে।
দুই স্বামী এক রূপ দেখি কি কারণে।।
পাপ বস্তু বলি হেন মনে নাহি জানি।
বুঝি করিলেন মোরে মায়া চক্রপাণি।।
এতেক ভাবিয়া দেবী বিস্ময় অন্তরে।
কৃতাঞ্জলি করি স্তুতি করে দামোদরে।।

জয় জয় জগৎপতি জয় নারায়ণ।
নমস্তে মাধব নমো নমো জনার্দ্দন।।
নমস্তে বরাহরূপ নমস্তে বামন।
বলির মত্ততা হেতু পৃথিবী ধারণ।।
নমস্তে মোহিনীরূপ অসুরমোহন।
নমো নারায়ণ মধুকৈটভমর্দ্দন।।
নমো ধন্বন্তরীরূপ দেবতার হিতে।
জগৎ উদ্ধার নাথ জগতের প্রীতে।।
সত্ব রজঃ তমোরূপ জয় জগৎপতি।
নমো নরসিংহরূপ ভক্তজন গতি।।
নমঃ ক্ষত্রকুলান্তক নমো ভৃগুপতি।
নমো রামকৃষ্ণরূপ নমো জগৎপতি।।
অখিলধারণ রূপ অখিলকারণ।
অন্তরীক্ষ নাভি তব, পাতাল চরণ।।
আকাশ মস্তক তব, তপন নয়ন।
বিরাট রূপেতে ব্যাপিয়াছ ত্রিভুবন।।
চরাচর দেব নাগ তোমার বিভূতি।
কি বর্ণিতে পারি দেব আমি নারীজাতি।।
অবলা স্ত্রীজাতি হেন বলে জ্ঞানীজন।
তোমার মহিমা কিবা করিব বর্ণন।।
তব মায়াবশে সমাচ্ছন্ন জগজ্জন।
কৃপা করি দেব মোর ঘুচাও বন্ধন।।
তব পাদপদ্ম বিনা না জানি মুরারী।
যদি আমি হই সতী পতিব্রতা নারী।।
দাসী বলি কৃপা যদি কর নারায়ণ।
এ মহা লজ্জাতে মোরে করহ তারণ।।

ভীষ্ম বলিলেন শুন শ্রীধর্ম্ম রাজন্ ।
এইমত বৈশ্যপত্নী করিল স্তবন।।
বৈকুণ্ঠের পতি তবে বৈকুণ্ঠ হইতে।
বৈশ্যপত্নী নিকটে আইলেন ত্বরিতে।।
ত্রিভঙ্গ ললিত রূপ শ্যাম কলেবর।
কনক কিরীট দিব্য মস্তক উপর।।
পীতবাস পরিধান রাজীবলোচন।
শঙ্খ চক্র গদা পদ্ম শ্রীবৎসলাঞ্ছন।।
তুলসী কোমলদল বিচিত্র ভূষণ।
মকর কুণ্ডল আদি বলয় কঙ্কণ।।
চারু চতুর্ভূজরূপ মোহন মুরতি।
ধন্য ধন্য মহাপ্রভু ধন্য জগৎপতি।।

অঙ্গের দুকূল ভাসে আনন্দ অশ্রুতে।
দবণ্ডৎ হইয়া কন্যা পড়িল ভূমেতে।।
হাতে ধরি শীঘ্রগতি তুলিলেন তারে।
দামোদর দিব্যজ্ঞান দিলেন দোঁহারে।।
দিব্যজ্ঞানে দিব্য মূর্ত্তি হৈল তিনজন।
বৈশ্যপত্নী বৈশ্য আর ব্যাধের নন্দন।।
তিনজন নানা স্তুতি করে নারায়ণে।
করযোড়ে সুমতি রহিল সেইক্ষণে।।
অবধান কর দেব মম নিবেদন।
দুই স্বামী একরূপ দেখি কি কারণ।।
মায়ার নিদান তুমি বিখ্যাত ভুবনে।
মায়া করি ভাণ্ড তুমি নিজ ভক্তগণে।।
কার শক্তি তব মায়া করিবে বর্ণন।
কিবা মায়াচ্ছন্ন মোরে করিলে এখন।।
দুই স্বামী একরূপ চিন্তা বড় মনে।
আজ্ঞা কর মহাপ্রভু চিনিব কেমনে।।
কৃপা করি শ্রীচরণে পড়ি জগৎপতি।
যেই স্বামী সেই হৌক এই সে মিনতি।।
দ্বিচারিণী বলিবেক যত সর্ব্বজন।
এই কর প্রভু মোর হউক মরণ।।
না করিবা যদি শুনন আমার বচন।
তোমার উপরে হত্যা দবি এইক্ষণ।।

এত শুনি হাসিয়া বলেন নারায়ণ।
দৈবের নির্ব্বন্ধ কন্যা না হয় খণ্ডন।।
দুই স্বামী এই তব অদৃষ্টে লিখিত।
আমার শকতি ইহা না হয় খণ্ডিত।।

Source: কাশীদাসী মহাভারত, শান্তি পর্ব , প্রয়াগ মাহাত্ম্যে ব্যাধ ও সুমতির উপাখ্যান (২২)


Leave a Reply